চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড

২৭ জুন ১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া মার্ক চ্যাপম্যান ওডিআই ফরম্যাটে ১৬ নভেম্বর ২০১৫ সালে ইউনাইটেড আরব আমিরাতের বিপক্ষে অভিষেক হয়। ওডিআই ফরম্যাটে মাত্র ২৯ ম্যাচ খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান, নিচে তার পরিসংখ্যান দেওয়া হল।

৮ আগস্ট ১৯৯০ সালে জন্ম নেওয়া উইলিয়ামসন তার অভিজ্ঞতা এবং ঠান্ডা মস্তিষ্কের জন্য পরিচিত। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার ব্যাটিং দলকে চাপের পরিস্থিতিতে ভরসা দেবে। চলুন দেখে আসি ওডিআই ফরম্যাটে কেন উইলিয়ামসনের পরিসংখ্যান।

উইল ইয়ং হলেন একজন টেকনিক্যালি দক্ষ ব্যাটসম্যান, যিনি টপ অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তার ধারাবাহিকতা দলে স্থিতিশীলতা এনে দেবে।

নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ৯ জুন ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই ফরম্যাটে অভিষেক হওয়া মিচেল স্যান্টনার। তার কৌশলী বোলিং এবং ব্যাটিং দক্ষতা দলকে ভারসাম্য প্রদান করে। স্যান্টনারের অধিনায়কত্বে দলের পারফরম্যান্স নজর কাড়ার মতো হতে পারে। মিচেল স্যান্টনার মূলত বোলার অলরাউন্ডার বোলিং এর পাশাপাশি ব্যাটসম্যান হিসেবে বড় ভূমিকা রেখে থাকেন। চলুন দেখে আসি পরিসংখ্যান।

২৯ মার্চ ২০২২ সালে ওডিআই ফরম্যাটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া তরুণ অলরাউন্ডার ব্রেসওয়েল তার স্পিন বোলিং এবং নিচের দিকে কার্যকরী ব্যাটিং দিয়ে দলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।ওডিআই ফরম্যাটে মাত্র ২৩ ম্যাচ খেলেছেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। নিচে মাইকেল ব্রেসওয়েলের পরিসংখ্যান দেওয়া হল।

অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেল তার ব্যাটিং এবং মিডিয়াম পেস বোলিংয়ের জন্য পরিচিত। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দলকে ম্যাচের শেষদিকে বাড়তি গতি এনে দিতে এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। ওডিআই ক্যারিয়ার পরিসংখ্যানে ৪২ ম্যাচ খেলেছেন যেখানে সর্বোচ্চ স্কোর ছিলো ১৩৪ রান।

২৬ বছরের স্মিথ একজন উদীয়মান বোলিং অলরাউন্ডার, যিনি তার মিডিয়াম ফাস্ট বোলিং এবং নির্ভরযোগ্য ব্যাটিং দিয়ে দলে ভারসাম্য আনবেন। ওডিআই ক্যারিয়ার পরিসংখ্যানে মাত্র ৫ ম্যাচ খেলেই চ্যাম্পিয়ান্স ট্রাফির মত একটা গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে দলে যায়গা করে নিয়েছেন।

গ্লেন ফিলিপস একজন আক্রমণাত্মক মিডল-অর্ডার ব্যাটিং অলরাউন্ডার। ২৮ বছর বয়সী ফিলিপস নবম তম চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতে দলে জায়গা করে নিয়েছেন। ওডিআই ক্যারিয়ারে ২৮ ইনিংস খেলে ৭৮১ রান করেছেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার।

২৫ বছর বয়সী তরুণ স্পিন অলরাউন্ডার ইতোমধ্যেই নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। তার বাঁহাতি স্পিন এবং কার্যকর ব্যাটিং তাকে চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি নিউজিল্যান্ড স্কোয়াডে জায়গা করে দিয়েছে।

ডেভন কনওয়ে টপ অর্ডারে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। তার টেকনিক্যাল ব্যাটিং এবং বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারে। ওডিআই ফরম্যাটে ৩২ ম্যাচ খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান যেখানে সর্বোচ্চ স্কোর ছিলো ১৫২ রান।

টম ল্যাথাম দলের উইকেটকিপার এবং মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান। তার স্ট্যাম্পের পিছনের দক্ষতা এবং চাপের মুহূর্তে ব্যাটিং দলে ভারসাম্য যোগ করে। আইসিসি ওডিআই র‍্যাংকিং এ তিনি ৪০ তম। এবারের চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফিতে ভাল করবে বলে আশাবাদী।

গতি এবং আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে পরিচিত ফার্গুসন দলের পেস অ্যাটাকের মূল ভরসা। তার ইয়র্কার এবং মাঝামাঝি ওভারে উইকেট নেওয়ার দক্ষতা প্রতিপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। ওডিআই ক্যারিয়ারে ৬৪ ম্যাচ বল করে ৯৯ উইকেট নিয়েছেন এই বোলার।

অভিজ্ঞ পেসার ম্যাট হেনরি তার সুইং এবং লাইন-লেংথের জন্য পরিচিত। নতুন বলের স্পেল এবং ডেথ ওভারে তার কার্যকারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওডিআই ক্যারিয়ারে ৮৫ ম্যাচ খেলে ১৫০ উইকেট নিয়েছেন এই বোলার।

তরুণ এবং প্রতিভাবান ফাস্ট বোলার উইলিয়াম ও’রর্ক এই টুর্নামেন্টে নিজের দক্ষতা প্রমাণের জন্য প্রস্তুত। তার গতিময় বোলিং দলের আক্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। ওডিআই ক্যারিয়ারে মাত্র ৬ ম্যাচ খেলে বল হাতে ৮ উইকেট নিয়েছেন এই বোলার।

বেন সিয়ার্স হলেন আরেকজন গতিময় ফাস্ট বোলার, যিনি দলের পেস অ্যাটাককে শক্তিশালী করবেন। তার আক্রমণাত্মক বোলিং প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। আন্তর্জাতিক ওডিআই ফরম্যাটে এখনও কোন ম্যাচ না খেলেও ২০২৫ চ্যাম্পিয়ান্স ট্রাফিতে তাকে দলে রাখা হয়েছে।